• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আজকের সাতক্ষীরা

সোলাইমান (আ.) যে পিঁপড়ার কথা শুনে মুচকি হাসেন

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২৪  

হজরত সোলাইমান (আ.) সারাবিশ্বের রাজত্ব করতেন। তাকে আল্লাহ তাআলা জিন, প্রাণী ও পোকামাকড়ের কথা বোঝার সক্ষমতা দান করেছিলেন। তিনি ছিলেন আল্লাহ তাআলার রসুল হজরত দাউদ (আ.)-এর সন্তান।

হজরত সোলাইমান (আ.)-কে আল্লাহ কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য দান করেছিলেন, যা আর কাউকে দেননি। যেমন, বায়ু প্রবাহ তার অনুগত হওয়া, তামাকে তরল ধাতুতে পরিণত করা, জিনকে অধীন করা এবং পাখিদেরকে অনুগত করা।

একদিন সেনাবাহিনী নিয়ে তিনি কোথাও যাচ্ছিলেন। তখন এক পিঁপড়া সর্দার সমস্ত পিঁপড়াকে ডেকে বলে, হে পিপিলিকার দল শোনো ! সোলাইমান (আ.) একটু পর এদিক দিয়ে তার বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে যাবেন। সুতরাং তোমরা কিছুক্ষণের জন্য সকলেই গর্তে প্রবেশ কর। যাতে তোমরা তাদের পদতলে পিষ্ট না হও এবং কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হও।

 

বিষয়টি কোরআনে আল্লাহ তাআলা তুলে ধরেছেন এভাবে,



সোলাইমান দাউদের স্থলাভিষিক্ত হল এবং বলল, হে লোক সকল, আমাদেরকে পাখির ভাষা শিক্ষা দেয়া হয়েছে এবং আমাদেরকে সবকিছু দেয়া হয়েছে। নিশ্চয়ই এটি একটি সুস্পষ্ট শ্রেষ্ঠত্ব। (সুরা নামল ১৬)

তারপর সোলাইমানের সম্মুখে তার সেনাবাহিনীকে সমবেত করা হল। জিন, মানুষ ও পাখিদেরকে। তারপর তাদেরকে বিভিন্ন ব্যুহ্যে বিভক্ত করা হল, এরপর যখন তারা একটি পিপীলিকা অধ্যুষিত এলাকায় উপনীত হল, তখন এক পিপীলিকা বলল, ‘হে পিপীলিকার দল, তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ কর। অন্যথায় সোলাইমান ও তার বাহিনী অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে পিষ্ট করে ফেলবে। (সুরা নামল ১৭-১৮)

তার কথা শুনে সোলাইমান মুচকি হাসলেন এবং বললেন, ‘হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমাকে ক্ষমতা দাও, যেন আমি তোমার নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করতে পারি, যা তুমি আমাকে ও আমার পিতামাতাকে দান করেছ এবং যাতে আমি তোমার পছন্দনীয় সৎ কাজসমূহ করতে পারি এবং তুমি আমাকে নিজ অনুগ্রহে তোমার সৎকর্মশীল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর (সুরা নামল ১৯)।

একটি পিঁপড়া অন্যান্য পিঁপড়াকে উপকার করার কারণে আল্লাহ তাআলার নিকট এ কাজ খুব পছন্দ হয়েছে। তাই তিনি মানব চেতনায় পরোপকারের বীজ বপন করতে কোরআনে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সন্নিবেশিত করলেন, উল্লেখ করলেন সোলাইমান (আ.) ও পিঁপড়ার ঘটনা। সেই সঙ্গে পিঁপড়ার নামে একটি সুরার নামকরণও করলেন ‘সুরাতুন নামল’।