• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আজকের সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় পরকীয়ার জেরে গৃহবধূকে অ্যাসিড নিক্ষেপ

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২৪  

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় পরকীয়ার জেরে মোছা: জাহানারা খাতুন (৪৫) নামে এক গৃহবধূর গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছেন তার প্রেমিক। গুরুতর আহত গৃহবধূকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নের বাজারগ্রাম রহিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জাহানারা খাতুন রহিমপুর গ্রামের মো: আদম আলী জোয়াদ্দারের স্ত্রী।

আহত জাহানারার জামাতা কুলিয়া দুরগাহপুর গ্রামের হাসান আলী জানান, তার শাশুড়ি জাহানারা কালিগঞ্জে উপজেলা সদরে প্রেরণা নামের একটি এনজিতে কাজ করতেন। সেই সুবাদে একই উপজেলার পানিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের সাথে তার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি (হাসান) নিজের স্ত্রীকে তালাক দেয়ার হুমকি দিয়ে শাশুড়িকে ওই পথ থেকে সরে আসার অনুরোধ জানান। একপর্যায় জাহানারা খাতুন তার প্রেমিক হামিদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। কিন্তু এরপরও হামিদ প্রায়ই মোবাইলে তাকে বিরক্ত করতেন। একপর্যায়ে তিনি হামিদের মোবাইল রিসিভ করা বন্ধ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত পাঁচ-ছয় মাস আগে হামিদ প্রেরণা অফিসে গিয়ে জাহানারা খাতুনকে ব্যাপক মারধর করেন। এ ঘটনার পর তাকে (জাহানারা) কালিগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

হাসান বলেন, ‘হামিদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শাশুড়িকে দেখতে এলে আমরা কয়েকজন মিলে তাকে মারধর করে সেখান থেকে বের করে দেই। এ ঘটনার পর থেকে হামিদ আমার শাশুড়িকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এরই জের ধরে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমার শাশুড়ি বাড়ির পাশের একটি মুদি দোকান থেকে মালামাল কিনে বাড়ি ফেরার পথে আব্দুল হামিদ ও তার অপর এক সহযোগী সাগর তাকে জাপটে ধরে। এ সময় তারা শাশুড়ি জাহানারা খাতুনের মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায় অ্যাসিড তার থুতনি থেকে শরীরে পড়ে।’

তিনি জানান, খবর পেয়ে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে এবং সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে তার স্বজনরা।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর থুতনি, বুক ও পেটের বিভিন্ন অংশ অ্যাসিডে পুড়ে গেছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।

কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শাহিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কিন্তু ভিকটিমের বাড়িতে কাউকে পাইনি। খোঁজ নিয়ে জানলাম, তারা রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এ বিষয় থানায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’