• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আজকের সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় খাবারের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা চুরি

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২৪  

তরকারির সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ানোর ফলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মোড়ের যমুনা সাইন্টিফিক এন্ড ফিসারিজের ৬ জনসহ ৭ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।  এ সময় চোর চক্রটি চুরি করে নিয়ে গেছে ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা।

গত সোমবার রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয় । একজনের অবস্থা অবনতি দেখে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক আব্দুল মালেক সাতক্ষীরা সদর থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সন্ধিগ্ধরা হলেন, নৈশ প্রহরী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের সিদ্দিক আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম, শ্রমিক একই গ্রামের বেলায়েত সরদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম, কাজের বুয়া বেতলা গ্রামের নূরী বেগম।

এই ঘটনায় খাবার খেয়ে যারা অসুস্থ্যরা হলেন, যমুনা সায়েন্টিফিক হ্যাচারী এন্ড ফিসারিজের মালিক আব্দুল মালেক(৪৫), প্রতিষ্ঠানটির টেকনিশিয়ান কয়রা উপজেলার পাঁচ নম্বর কয়রা গ্রামের মোজাহার হাওলাদারের ছেলে ফয়সাল আনাম (৫২) প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক তালা উপজেলার আঠারাই গ্রামের মৃত মোকা মোড়লের ছেলে নুর ইসলাম, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার আরাজী ভবানীপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে এনামুল মোড়ল, (৩২) কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার কোঠিয়াসাম গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে একরামুল হক (৩৫), বেতলা গ্রামের আরিফুল ইসলামের মেয়ে রানী খাতুন (১৫)।

প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ আব্দুল মালেক জানান, সোমবার সন্ধ্যায় রাঁধুনী নূরী বেগম রান্না করে সব সাজিয়ে রেখে যান। প্রতিদিনের ন্যায় রাতে তারা সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করেন। রাতের খাবার ছিল কচুর মুখি ও তেলাপিয়া মাছ। তরকারি স্বাদ ভালো না হওয়ায় ডিম দিয়ে খাওয়া শেষ করেন তারা। তরকারির বাটিতে বিড়ালে মুখ দিয়েছে দাবী করে নৈশ প্রহরী শরিফুল ডিম দিয়ে খান। ঐদিন শহিদুল কোন ভাত খায়নি। বাকিরা ওই তরকারি দিয়ে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে। রাঁধুনী বাড়ি যাওয়ার সময় সে রাতের খাবার নিয়ে যায়। তার মেয়ে রানী খাতুন খেয়ে অসুস্থ হয়েছে দাবি করলেও তাকে সুস্থতা দেখা যায়। তিনি তরকারি খাওয়ার কারণে বেশি ঘুম না হলেও অন্যান্যদের মতো ঘুম থেকে উঠে সাবাইকে ডাকলে তাদের তেমন সাড়া না মেলায় ঘরের দরজা খুলে দেখেন তারা সবাই অচেতন হয়ে পড়ে আছে। অফিসে গিয়ে দেখেন সবই উলট পালট। ড্রয়ার ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ড্রয়ারে থাকা মাছ বিক্রির ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা নাই। অফিসে থাকা কালো রংয়ের একটি ব্যাগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র একটি পাঞ্জাবী চুরি হয়ে গেছে। গ্রাম ডাক্তার আশরাফ আলীকে ডেকে তাদেরকে অসুস্থদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।

উল্লেখ্য,২৩ দিন পূর্বে নৈশ প্রহরী শরিফুল ও শ্রমিক শহিদুল দশ হাজার পিচ তেলাপিয়া মাছের চুরি করে বিক্রি করতে যেয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে। ওই ঘটনা তারা ক্ষমা চাইলে তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। এক বছর পূর্বে ড্রয়ার ভেঙে ৭৫ হাজার টাকা এবং একটি মোটর চুরি করে নিয়ে যায়।
বারবার চুরি হওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আব্দুল মালেক উদ্বিগ্ন রয়েছেন। চুরি থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।