• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আজকের সাতক্ষীরা

হাতের তালু জ্বালাপোড়া

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২৪  

অনেকেই হাতের তালু জ্বালাপোড়া জাতীয় ব্যথায় ভুগে থাকেন। মেডিক্যাল পরিভাষায় এই বিষয়টিকে বলা হয় ‘কারপাল টানেল সিনড্রোম’।

কারণ : হাতের কবজির ব্যান্ডে চাপ তৈরি হলে হাতের তালুতে জ্বালাপোড়া জাতীয় সমস্যা তৈরি হয়। এই ব্যান্ড সাধারণত আমাদের হাতের কবজিতে যে স্বাভাবিক গঠন আছে এটি কোনো কারণে নষ্ট হলে যেমন : হাতের কবজিতে কোনো আঘাতজনিত ভেঙে যাওয়া বা মচকে যাওয়া জাতীয় সমস্যা হলে পরবর্তী সদয়ে এই ব্যান্ড ছোট হয় এবং স্নায়ুতে চাপ দিয়ে এ জাতীয় সমস্যা তৈরি হয়।

দীর্ঘমেয়াদি স্নায়ুতে চাপ তৈরি হয় যাদের রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস জাতীয় সমস্যা থাকে। হাতের কবজিতে কোনো অপারেশন হলে পরবর্তী সময়ে অনেক দিন পরে এ জাতীয় জ্বালাপোড়া সমস্যা হতে পারে।

কারা হাতের তালু জ্বালাপোড়া জাতীয় সমস্যার ঝুঁকিতে থাকেন?

* গঠনগতভাবে মহিলাদের হাতের কবজির ব্যান্ডটি ছোট থাকে। যে কারণে মহিলারা এই জাতীয় সমস্যায় বেশি ভুগে থাকেন।

* দীর্ঘমেয়াদি অস্টিওআর্থ্রাইটিস জাতীয় সমস্যায় যাঁরা ভুগে থাকেন, তাদের এই সমস্যা হয়।

* ডায়াবেটিসজাতীয় সমস্যা থাকলে সে ক্ষেত্রে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এ জাতীয় সমস্যা হতে পারে।

* শরীরের ওজন অত্যধিক বেড়ে গেলে এ জাতীয় সমস্যা হতে পারে।

* যারা থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের ক্ষেত্রেও এটি হতে পারে।

* যারা কম্পিউটারে কাজ বেশি করেন এবং মাউসের ব্যবহার বেশি করেন তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।

করণীয়

* হাতের কবজিতে চাপ কমাতে হবে এবং রিল্যাক্স রাখার চেষ্টা করতে হবে।

* যারা দীর্ঘ সময় লেখার কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে সফট এবং আরামদায়ক কলম ব্যবহার করতে হবে, যাতে হাতের কবজিতে চাপ না পড়ে।

* যারা ফ্যাক্টরিতে হাতের কবজি নাড়াচাড়াজাতীয় কাজের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত তাদের কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিয়ে কাজ করতে হবে।

* যারা দীর্ঘ সময় টাইপিং এবং নেটওয়ার্কিং কাজে কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তাদের মাউসটি আরামদায়কভাবে ব্যবহার করার অভ্যাস করতে হবে।

* শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

* যারা অধিক বয়স্ক তারা তাদের হাতকে সব সময় গরম রাখার চেষ্টা করতে পারেন, যা এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. মো. আহাদ হোসেন

কনসালট্যান্ট ও  ব্যথা বিশেষজ্ঞ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুর