• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আজকের সাতক্ষীরা

শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য চকলেট কতটা ক্ষতিকর?

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২৪  

চকলেট খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। ছোট থেকে বড় যেকোনো বয়সের মানুষের পছন্দের তালিকায় থাকতে পারে চকলেট। বিশ্বের অনেক দেশে ৭ জুলাই পালন করা হয় চকলেট দিবস।

শিশুরা হরহামেশাই চকলেট খাওয়ার জন্য বায়না ধরে। কেউ বেড়াতে আসলে অনেকেই হাতে করে শিশুর জন্য চকলেট নিয়ে আসে। কিন্তু এই চকলেট শিশুর স্বাস্থ্যের উপর কেমন প্রভাব ফেলছে, সেটা ভেবে দেখা হয় কমই। 

চকলেট খাওয়া কতটা ক্ষতিকর, তা বোঝার আগে জানতে হবে চকলেট কী কী ধরনের হয়।

সাধারণত তিন ধরনের চকলেট আমরা দেখতে পাই–

১. ডার্ক চকলেট (Dark Chocolate)

২. মিল্ক চকলেট (Milk Chocolate)

৩. হোয়াইট চকলেট (White Chocolate)

ডার্ক চকলেটকে বলা হয় চকলেটের সবচেয়ে কম প্রক্রিয়াজাত অবস্থা। যে কারণে এর কিছু কিছু উপকারের কথা বলা হয়। যেমন, বলা হয় এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, যা একটি উপকারী উপাদান।

কিন্তু শিশুরা যে চকলেট বেশি পছন্দ করে, তা হলো নানা ধরনের মিল্ক চকলেট। প্রচুর পরিমাণে চিনি ও দুধ ব্যবহার করে এই চকলেটগুলো তৈরি করা হয়। ফলে এসব চকলেট হয় খুব মিষ্টি এবং এসব চকলেটে থাকে একটা স্টিকি বা আঠালো ভাব। এই মিষ্টি বা আঠালোভাব হলো মুখের ব্যাকটেরিয়ার একেবারে আদর্শ খাবার। তাই মিল্ক চকলেট বেশি খায় যে শিশুরা, তাদের প্রায় সবার মুখেই ক্যাভিটি বা দাঁতের ক্ষয় রোগটি দেখা যায়।

এই নরম আঠালো সুস্বাদু মিল্ক চকলেট খাওয়ার পর শিশুদের দাঁতে চকলেটটি লেগে থাকে। শিশুরা এমনিতেই দাঁত পরিষ্কারের ব্যাপারে খুবই আনাড়ি, তাই খুব সহজেই এই আঠালো চকলেট দাঁতে ক্যারিজ বা দন্তক্ষয় নামক রোগ তৈরি করে। পরবর্তীতে অবহেলার কারণে ধীরে ধীরে এই দন্তক্ষয় ছোট থেকে বড় হয় এবং শিশুদের দাঁতের ইনফেকশন থেকে শুরু করে নানা ধরনের রোগের উদ্রেক করে।

অনিদ্রার কারণ

চকলেটে আরও থাকে কোকো, যার উপাদান ক্যাফেইন। এটি ইনসমনিয়া বা অনিদ্রা সৃষ্টি করতে পারে। কারো কারো পাকস্থলীর স্তর কোকোর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেছে। পেট ব্যথা, বমি ও গ্যাস্ট্রিকের জ্বালাপোড়ার মতো উপসর্গ তখন হয়েছে।

বেশি চকলেট হার্টের পালপিটিশন বাড়িয়ে দিতে পারে। সৃষ্টি করতে পারে ঘাম, কাঁপুনি ও দমবন্ধ অবস্থা।

আর নিয়মিত কোনো বিশেষ ব্র্যান্ডের চকলেট খেতে থাকলে যে তা আসক্তিরও কারণ হতে পারে, তার প্রমাণ হয়ত আপনি নিজেও দেখেছেন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা সময় চকলেট না খেলে হয়ত এমন ব্যক্তির খুব অস্থির লাগে।

সচেতন হোন এখনই

আপনার পরিবারের শিশু যদি চকলেটে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন, আপনাকে সচেতন হতে হবে এখনই। শিশু যখন চাইবে তখনই দেবেন না। আস্তে আস্তে কমাতে থাকুন। চকলেটের ক্ষতিগুলো সম্পর্কে বোঝান। সম্ভব হলে নেট থেকে ছবি নিয়ে বাচ্চাকে দেখান যে, অতিরিক্ত চকলেট খেলে কী পরিণতি হয়। আশা করা যায়, আপনার বাচ্চা বুঝবে।

আর বড়দের যদি এই আসক্তি থাকে, তাহলে তা থেকে বেরিয়ে আসার প্রেরণা আপনার নিজেকেই দিতে হবে।